ছোট গল্পঃ এক হৃদয়হীনা

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২৪ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:৫৫:৩৮ সকাল



Roseতখন একটি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি।

ভালুকায় আমার অফিস। প্রতিদিন খুব ভোরে অফিসের গাড়ি মেইন রোডে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমার অপেক্ষা করে। দু’মাস হল এখানে জয়েন করেছি। বাসা থেকে বেশ খানিকটা পথ হেঁটে হেঁটে বাসস্টপের সেই যায়াগাটায় যেতে হয়।

বাসস্টপের সাথেই একটি পত্রিকার দোকান। পাশেই একটি টি-স্টল। মজার ব্যাপার হল এতো ভোরেই দোকানদুটো খোলা থাকে। নাইট কোচগুলো আসা যাওয়ার পথে এখানে যাত্রী নামে। এজন্য চায়ের দোকানটি প্রায় সারা রাতই খোলা থাকে। একজন বৃদ্ধ মানুষ দোকানটি চালায়। খুব ভালো চা বানায়। আর পত্রিকার দোকানটিতে এসে সব হকারেরা জমায়েত হয়। এই লোক এখানের একজন পত্রিকা ডিলার। দু’মাসে এই দুজনের সাথে আমার বেশ আলাপ ও মিত্রতা হয়ে গেছে। আমি-ই এই সময়ে তাঁদের একমাত্র কাস্টমার কিনা! সকালের প্রথম কাপ চা এবং প্রথম পত্রিকাটি আমি-ই নেই প্রতিদিন।

একটু ভুল হল। আমিই একমাত্র যাত্রী নই এই সময়ের।আর একজন প্রায় একই সময়ে আসে। আজ দু’মাস যাবত দেখে আসছি। ভোরের তাজা ফুলের মত স্নিগ্ধতাকে সাথে নিয়ে দূর থেকে একজন হেঁটে হেঁটে আসে। কাঁধে একটা ব্যাগ। দুলতে থাকে এলোমেলো। এত ভোরে দু’পাশে ছড়ানো এলো চুল। পীঠের দিকটা ভেজা থেকে। হয়তো ভেজা চুলের জন্য । আমার থেকে একটু দূরে অপেক্ষা করে। একই বাসস্টপের নীচে।

প্রথম যেদিন ওকে দেখি... সারা রাত বৃষ্টি হয়েছিল মুষলধারে। সকালে টিপটিপ ঝরছে। আমি সময়ের বেশ আগেই এসে বৃদ্ধ চা দোকানীর সাথে খাজুরা আলাপে মগ্ন। ইট বিছানো রাস্তাটি কাঁদায় ঢেকে আছে। অনেক আগের ইটের সলিং। সেই রাস্তার ডান পাশ ঘেষে অতি সন্তর্পনে হেঁটে আসছিল একটি মেয়ে। এলোমেলো ভারসাম্যহীন ইটের তলানিতে জমানো কাদা-পানি ‘পিচিক’ করে ওর শরীরকে যেন ভিজিয়ে না দেয়। তাই এতো সতর্কতা।

পরে জেনেছিলাম মিথিলা ওর নাম।

সেও একই দিকে অন্য একটি কোম্পানিতে কাস্টোমার সার্ভিস অফিসার হিসেবে আছে। ওকে নিতে আসা মাইক্রোবাসটি একটি কালো রঙের ‘হাইস’। কালো কাঁচে ঢাকা পুরো গাড়ির ভিতর যেন কবরের নিস্তব্ধতা। বাইরে থেকে তো তেমনই মনে হয় আমার।

প্রতিদিন ঘড়ি ধরে প্রায় একই সময়ে সে আসে। ততোক্ষণে পত্রিকার দোকানের ডিস্ট্রিবিউশন শেষ হয়ে যায়। হকারেরা উল্কার বেগে সাইকেলের প্যাডেল মারায় ব্যস্ত তখন অলিতে গলিতে। আমি আর বৃদ্ধ দোকানি নীরবে ওকে স্বাগত জানাই। এভাবেই কেটে যায় পাঁচ-সাত মিনিট। দূর থেকে ওর পরিচিত গাড়িটিকে দু’জনেই প্রায় এক সাথে দেখতে পাই। তবে কি আমিও গাড়িটির অপেক্ষায়-ই থাকি?

ওটা রাস্তার বাঁকে দেখা যেতেই মিথিলা ঘাড় বেঁকিয়ে আমার পানে তাকায়! আমিও ওকে দেখি। আমার চোখে কি তখন মুগ্ধতা বিরাজ করে? না হলে প্রতিদিনই একই ভাবে ওর ক্ষণিকের অপলক দৃষ্টির চেয়ে থাকা আর নীরবে গাড়ীতে উঠে যাওয়া কেন?

এভাবে একজন অপরিচিতা চলার পথে অপেক্ষার কষ্টকর (আমার কাছে অবশ্য আনন্দের ছিল ঐ সময়গুলো) প্রহরগুলোতে পাশাপাশি থেকে চেনা-অচেনার গণ্ডী পার হয়ে যায়। একজন সম্পর্কহীনার সাথে হৃদয়ের বিনা তারে কীভাবে যেন একটা লিঙ্ক হয়েই যায়। সে যে পথ ধরে এখানে আসে, ঐ পথটিকেও আমার বড় আপন মনে হয়! বন্ধের দিনগুলোতে আমি সেই পথ ধরে ধরে হেঁটে যাই... বাতাসে মিথিলার ঘ্রাণ পাবার চেষ্টা করি। আসলে মেয়েদের সাথে তখনো পর্যন্ত আমি তেমনভাবে মিশি নাই। তাই একজন অপরিচিত মিথিলা আমার পরিচিত জগতটিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

সেদিন ছিল হরতাল। রুটিন সময়ে অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষন আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে, এখন হচ্ছে না। কিন্তু আকাশ মেঘে ঢাকা। যে কোন সময়েই নামবে নামবে ভাব। কাঁধের ব্যাগটি অবহেলায় এদিক সেদিক দুলিয়ে চিন্তিত মনে মিথিলা আসে। আজ কেন জানি প্রতিদিনের রেখে দেয়া দূরত্বটুকু পার হয়। অদৃশ্য সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে আমার আরো একটু কাছে আসে। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎ বলে, ‘ আজ তো গাড়ি আসবে না। কি করি বলুনতো?’ প্রথমটায় মনে করলাম অন্য কারো সাথে কথা বলছে। কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই... আর বাতাসের সাথে তো কথা বলবে না। তাই অবাক হয়ে ওর দিকে চেয়ে থাকি।

আমার অবাক হওয়া দেখে মিথিলা হাসে। আমাকে কি ল্যাবা মনে করেছিল সেদিন? হাসি থামিয়ে বলে, ‘এই যে মিস্টার। আপনাকেই বলছি!’

সেই প্রথম আমাদের কথা বলা। আমাদের না বলে ‘ওর বলা’ বললেই ভালো হয়। আমি বোকার মতো হেসেছিলাম। তারপর একজন মিথিলাকে আকর্ষণ করার জন্য নিজের ব্রেইনের সকল কোষগুলোকে তড়িৎ কাজে লাগাতে চেয়েছি। নিঃসঙ্গ একটা রিক্সা কোথা থেকে এসে যেন আমাকে হাতে চাঁদ পাইয়ে দিলো। একটা নির্দিষ্ট পথ পর্যন্ত যেতে পারলে সেখান থেকে অন্য একটা ব্যবস্থা করা যেতে পারে ভেবে মিথিলাকে ওটা ঠিক করে দেই। সে রিক্সায় উঠে আমার দিকে তাকায়। ওর চোখে আমি কি দেখেছিলাম জানি না। হয়তো কবিগুরুর মত, ‘ তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ’। আমি দাঁড়িয়ে আছি দেখে বলল, ‘ আমি কি একাই যাবো? আসুন, একসাথে যাই।‘ পরোক্ষভাবে কি সে আমাকে জীবনের চলার পথের কথাই বলেছিল না?

সেই প্রথম কোনো মেয়ের খুব কাছাকাছি আসা। একজন নারীর সাথে পাশাপাশি রিক্সার অপরিসর যায়গায় একত্রে বসা। ঐ প্রথম নিজের ভিতর থেকে নিজেকে বের করে আনা। অন্য এক আমিকে চেনা। রিক্সাওয়ালা খুব দ্রুত চালাচ্ছিল। কারন পিকেটারদের রাস্তায় আসার আগেই সে গন্তব্যে পৌঁছাতে চাইছে। খুব হাল্কা বৃষ্টি শুরু হল। আমি রিক্সার হুড ফেলে দেবো কিনা জানতে চাইলে মিথিলা না করল। সেদিন যে কেমন লাগছিল তা আমি লিখে প্রকাশ করতে পারবো না। অন্য কেউ হয়তো পারতে পারে।

একেতো একটু একটু শীত করছিল... এদিকে দুরন্ত বাতাস দুষ্টুমি শুরু করে দিলো মিথিলার খোলা চুল নিয়ে। বার বার সেগুলোকে ঠেলে ঠেলে দিচ্ছিল আমার দিকে। অর সিল্কের মত কালো চুল আমার চোখে... গালে ভালবাসার পরশ বুলিয়ে যাচ্ছিল। আমার শরীর ওকে ছুঁয়ে আছে। কেমন নরম-পেলবতা আমার ভিতরে উষ্ণতর এক কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। পৃথিবীটাকে খুব সুন্দর লাগছিল। এমনকি সেই পথে একটা ব্রীজ রয়েছে যাকে সবাই গন্ধ ব্রীজ বলে থাকি। যত সব নোংরা-ময়লা সেখানে রাস্তার এক পাশে ফেলা হয়। আর পৃথিবীতে এতোটা দুর্গন্ধ বোধ করি আর কোথাও নেই। সেখান দিয়ে যাবার সময়েও আমি কিছুই অনুভব করলাম না! আমার পাশে যে ভালবাসার (তখনো অবশ্য কিছুই হয়নি। আমার মনের ভিতরের তখনকার অনুভুতির কথা বলছি) সুবাস নিয়ে মিথিলা নামের একজন বসে ছিল!! জীবনের নতুন এক অর্থ খুঁজে পেয়েছিলাম সেদিন। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটিকে সুদৃঢ় করে হৃদয় থেকে মস্তিষ্কে একটি বার্তাই জানান দিচ্ছিল- লাইফ ইজ বিউটিফুল!!

এরপর ধীরে ধীরে দুজন কাছে এলাম। যাওয়া আসার সময়টুকু ছাড়াও বন্ধের দিনগুলোতে আমরা দেখা করতাম... অনেক দিন... অনেকগুলো ঘণ্টা একত্রে কাটিয়েছি মিথিলার সাথে। শীত গ্রীষ্ম বসন্ত আর ভরা বাদলের দিনে ওকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি যত্রতত্র। 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল' নামে ওকে নিয়ে জীবনের প্রথম একটি কবিতাও লিখেছিলাম। খুব লজ্জা নিয়ে যেদিন ওকে সেটা পড়ে শুনালাম, কেমন করে যেন আমাকে দেখল! ওর চোখ দিয়ে ক’ফোটা অশ্রু ঝরে পড়ল। আমার হাত ধরে বলেছিল, ‘এতোটা ভালোবাস আমায়!?’

ভালবাসার স্বরূপ জানতে ওকে নিয়ে ভেজা শালবনের গভীরে হারিয়েছিলাম... নুহাশ পল্লীর নিভৃত অরন্যে... তুরাগের বুক চিরে ট্রলারে করে দুজনে দিগন্তে যেখানে আকাশ আর নদী এক হয়ে গেছে, সেখানে যাবার চেষ্টা করে করে অনেক দূরে চলে গেলাম! ভালবাসার জন্য... মিথিলাকে পাবার জন্য আমি করি নাই এমন কিছুই ছিল না।

সেই মিথিলাকে শেষবার দেখি এক আলোকোজ্জ্বল রাতে! রঙ বে-রঙের পোশাক পড়া অতিথিদের ভিড়ে... অপ্সরী সেজে বসে আছে সে! চারিদিকে এতো আলোর ভিতরে আমাকে নিকষ কালো আঁধারে ডুবিয়ে সে চলে গেলো অন্য একজনের হাত ধরে! সানাই বেজে চলেছে... সেই সানাইয়ের সুরে সুরে সে চলে গেলো... ফিরে এলোনা! ওর হৃদয়ে তখন সানাইয়ের মধুর রাগিনী! আর আমি কয়েক শ’ বিষাক্ত সাপের ছোবল হৃদয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি... আমার কানে বেজে চলছিল সানাইয়ের করুণ সুর। আমার কষ্টকে তা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিল। আমাকে যেন ধারালো তরবারী দিয়ে কয়েক শ’বার আঘাত করা হয়েছে... একটা জ্বলন্ত তীর আমার হৃদয়টাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়ে গেলো মিথিলার সামনে দিয়ে।

মিথিলা একবারও পিছনে আমার দিকে ফিরে তাকালো না!

আসলে মিথিলারা কখনো-ই পিছু ফিরতে চায় না... মিথিলারা এক একজন হৃদয়হীনা!

ওরা কখনোই কারো হয় না।। Rose

বিষয়: সাহিত্য

১০২০ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

257633
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:২২
মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : বাহ! চমৎকার !খুব ভালো লাগলো।
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
201362
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে।Good Luck
257638
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:০৯
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
201363
মামুন লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।Good Luck
257643
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:১৮
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : বাহ্ খুব সুন্দর লিখেছেন।
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
201365
মামুন লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...Good Luck
257662
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০৫
আহ জীবন লিখেছেন : সব মানুষেরই দুর্ভাগ্য। প্রথম দেখায় সর্বনাশ দেখেনা।
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৯
201370
মামুন লিখেছেন : হ্যা, ঠিক বলেছেন। তবে প্রথম দেখায় যাকে ভালো লাগে এবং হৃদয় দিয়ে দেওয়া হয়; তাঁকে না পেলে কেন শেষে ঘৃনার বহিঃপ্রকাশ? যাকে ভালোবেসেছি, তার ভালো-মন্দ সব কিছুই নিয়েই তো পছন্দ করা। এই গল্পের নায়ক মিথিলাকে না পেয়ে শেষে "মিথিলারা এক একজন হৃদয়হীনা!

ওরা কখনোই কারো হয় না।।"- এই অনুভুটি আসা কি ঠিক? কেউ চলে যেতে পারে, তবে সে তো আমার হৃদয়ের ভালোবাসা সাথে নিয়ে যায় নি। আমি তো সেই আমার অনুভুতিতে বিরাজমান আমি-ই রয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো।Good Luck
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
201393
আহ জীবন লিখেছেন : দুই পক্ষের অনুভূতি না শুনলে শুধুই এক পক্ষকে দোষ দেওয়া উচিৎ নয়।

সত্যিকার ভালো বাসা যে বুঝে তার পক্ষে কোনদিনই এসব অভিযোগ করা সম্ভব নয়। সে মেয়েটা যত খারাপ ই হোক।
257663
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:১১
কাহাফ লিখেছেন :
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০২
201371
মামুন লিখেছেন : 'পেয়ে হারানোর বেদনায়, পুড়ে চলেছি সারাক্ষন, কেন তুমি মিছে মায়ায় ,বেঁধেছিলে আমায় তখন'- এই গানের মতই গল্পের নায়কের অনুভুতি। ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর আপনার হাতের লেখা খুব সুন্দর, ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।Good Luck
257683
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো খুব
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০২
201373
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইলো।Good Luck
257685
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দারুন লিখেন আপনি
257729
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
মামুন লিখেছেন : আপনার মতো দারুন নয়। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। খুশী হলাম। শুভেচ্ছা রইলো। Rose Rose
257740
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
রাইয়ান লিখেছেন : ''এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে ....'' Sad
সুন্দর গল্প। অনেক ধন্যবাদ।
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
201388
মামুন লিখেছেন : হ্যা, খুব প্রিয় একটি গান। তবে গানটির থেকে শিল্পীকে বেশী ভালোবাসতাম। খুব প্রিয় ছিলেন আমার। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইলো।Good Luck
১০
257954
২৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:৫৮
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : হৃদয়হীন কোন মানুষ পৃথিবীতে নেই! বলতে হবে কঠিন হৃদয়, অথবা নরম হৃদয়, মমতময়ী হৃদয়, মমতহীন হৃদয়, ইত্যাদি ইত্যাদি....
২৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০৩
201638
মামুন লিখেছেন : হদয়হীন বা হৃদয়হীনা- আসলে শব্দগুলি মনের আবেগ এবং অভিমান থেকে আসে। না হলে, হৃদয় ছাড়া কোনো মানুষ হতে পারে না, এটা সবাই-ই জানে। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।Good Luck
২৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
201678
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : মনের আবেগ থেকে মিথ্যা কথা আসে কিয়েরলাইগা? সত্য আসতে পারেনা!?
১১
257975
২৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:৩২
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আমার যা মনে হয়, যে যতো ভাবই করুক না কেন - সবাই আসলে মিথিলা।

প্রেম শুধু সিনেমা আর সাহিত্যেই – বাস্তবে একেবারেই অনুপস্থিত; যদিও অনেকে নানান রঙ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে এসব নিয়ে অনেককে দিয়ে।
২৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০৫
201639
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। সবাই মিথিলা হলে তো আমাদের জন্য দারুন দুঃসংবাদ Happy । ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিরন্তর।Good Luck Good Luck
১২
257994
২৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০৮
মামুন লিখেছেন : আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আর একবার ধন্যবাদ @ আহ জীবন। আপনি ঠিক বলেছেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য না শুনে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। মিথিলা কেন চলে গেলো, তা চলে যাবার পরে অনেকেরই আর জানা হয়ে উঠে না। সবাই শুধু চলে যাওয়াটাই দেখে, কি পরিস্থিতিতে গেলো, সেটা অনুধাবন করে না, করতে চায়ও না; কিংবা চাওয়ার মত হৃদয়ের অবস্থাও থাকে না। শুভেচ্ছা রইলো। Rose Good Luck
১৩
258143
২৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
মামুন লিখেছেন : আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর নিজেকে জিজ্ঞেস করুন@ নুর আয়শা আব্দুর রহিম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। Rose
১৪
258244
২৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৪৮
অয়ন খান লিখেছেন : এটি একটি রক্ষনশীল কমেন্ট, প্রগতিশীলরা সহনশীল দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। মিথিলারা একটু সংযত হলে, এই নায়ক ভদ্রলোকের বুকে অহেতুক জ্বালা তৈরি হত না। মিথিলার মনে কি ভদ্রলোককে নিয়ে মজা করার একটুও বাসনা ছিল না? মান্নাদের কথায় - "তুমিও কি একটুও হারো নি?"
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০২
201979
মামুন লিখেছেন : হ্যা, মিথিলাও হেরেছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো।Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File